সর্বশেষ
অক্টোবর ১৩, ২০২৫

মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেন জ্যাক গ্রিলিশ, এভারটন তার নতুন জীবন

Spread the love

মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেন জ্যাক গ্রিলিশ, এভারটন তার নতুন জীবন দেখলোফুটবল দুনিয়ার এক অদম্য যোদ্ধার নাম জ্যাক গ্রিলিশ। গুরুতর ইনজুরির পরও যিনি হাল ছাড়েননি, বরং মাঠে ফিরে হয়ে উঠেছেন অনন্য এক সুপারস্টার। সম্প্রতি এভারটনের জার্সিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আবারও আলোচনায় তিনি।ইংল্যান্ডের এই মিডফিল্ডারকে ঘিরে ভক্তদের উন্মাদনা যেন নতুন করে জেগে উঠেছে। সেপ্টেম্বর মাসে প্রিমিয়ার লিগের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হওয়া তার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সই প্রমাণ করছে—৩০ বছর বয়সেও গ্রিলিশ আগের মতোই উজ্জ্বল।ক্যারিয়ারের বড় বাঁকটা আসে ২০১৬ সালে। ওয়াটফোর্ডের বিপক্ষে প্রি-সিজন ম্যাচে মারাত্মক চোট পেয়ে কিডনি ফেটে গিয়েছিল তার। ভয়াবহ অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে তিনি পৌঁছে যান ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে। ক্যারিয়ার তখন ঝুঁকির মুখে।অ্যাস্টন ভিলার তৎকালীন কোচ স্টিভ ব্রুস সেই সময়ের অভিজ্ঞতা স্মরণ করে বলেন,“ওটা ছিল গ্রিলিশের জীবনের সবচেয়ে ভয়ংকর সময়। আমাদের কাছে তেমন রিসোর্সও ছিল না। তাই একাডেমি থেকে ওর বন্ধু ওলি স্টিভেনসনকে রিহ্যাবে যুক্ত করি। সেই সময়টিই গ্রিলিশকে বদলে দিয়েছিল।”রিহ্যাব থেকে ফিরে গ্রিলিশ যেন নতুন রূপে জন্ম নেন। শরীরের গঠন, ফিটনেস, খেলার মান—সবকিছুতে এক বিশাল পরিবর্তন। ব্রুসের ভাষায়, “সে ফিরে এল ছেলেটি হয়ে নয়, পূর্ণাঙ্গ একজন ফুটবলার হয়ে।”এরপর ধীরে ধীরে ফুটবল বিশ্ব জেনেছে গ্রিলিশের আসল রূপ। ম্যানচেস্টার সিটির রেকর্ড £১০০ মিলিয়ন ট্রান্সফারের পর নানা উত্থান-পতন পেরিয়ে অবশেষে এভারটনে এসে তিনি খুঁজে পাচ্ছেন নতুন আলো। মাত্র দুটি ম্যাচে চারটি অ্যাসিস্ট করে তিনি ইতিমধ্যেই প্রমাণ করেছেন, নিজের সেরা ফর্মে ফিরছেন।স্টিভ ব্রুসের বিশ্বাস, ডেভিড ময়েসের অধীনে গ্রিলিশ আবারও আনন্দ নিয়ে ফুটবল খেলতে পারবেন। “ও যখন ড্রেসিং রুমে থাকে, পুরো পরিবেশ আলোকিত হয়ে ওঠে। এখন সে আরও পরিণত, আরও ক্ষুধার্ত। এভারটন তার কাছ থেকে সর্বোচ্চটা পাবে।”ক্যারিয়ারের শুরু থেকে নানা সমালোচনা ও ধাক্কা সামলেও গ্রিলিশ প্রমাণ করেছেন, প্রতিভা আর মানসিক দৃঢ়তা থাকলে যেকোনো বাধা পেরোনো যায়। আর সেটিই তাকে আজকের গ্রিলিশে রূপ দিয়েছে—একজন বেঁচে ফেরার যোদ্ধা থেকে মাঠের উজ্জ্বলতম তারকা।

Featured image

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *