ওয়াশিংটন থেকে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৯ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে গাজার জন্য এক ঐতিহাসিক ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। এ পরিকল্পনাকে ট্রাম্প অভিহিত করেছেন “শান্তির জন্য ঐতিহাসিক দিন” হিসেবে।প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুযায়ী গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হবে এবং মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি করা হবে। তবে শর্ত হলো হামাসকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব বন্দি মুক্ত করতে হবে, এমনকি মৃতদেহগুলোও ফেরত দিতে হবে। এর বিনিময়ে ইসরায়েল ২৫০ আজীবন সাজাপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি ও অক্টোবর ৭, ২০২৩-এর পর আটককৃত প্রায় ১,৭০০ গাজাবাসীকে মুক্তি দেবে।ট্রাম্প স্পষ্ট ভাষায় সতর্ক করে বলেছেন, হামাস প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে ইসরায়েলকে “যুদ্ধ শেষ করতে পূর্ণ সমর্থন” দেওয়া হবে। পরিকল্পনায় উল্লেখ রয়েছে, গাজাকে “সন্ত্রাসমুক্ত ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর জন্য হুমকিমুক্ত এলাকা”তে রূপান্তরিত করা হবে।বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে পরিকল্পনার প্রতি ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। কাতারের দোহায় ৯ সেপ্টেম্বরের বিমান হামলার জন্য ক্ষমা চাওয়ার পর নেতানিয়াহু বলেন, এ পরিকল্পনা ইসরায়েলের যুদ্ধ-লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। পাকিস্তান, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের প্রধানমন্ত্রী ও আরব-ইসলামি পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।এখনো প্রশ্ন রয়ে গেছে, হামাস কি এই পরিকল্পনা মেনে নেবে নাকি নতুন করে সংঘাতের পথে যাবে। বিশ্ববাসীর দৃষ্টি এখন গাজার দিকে।
হামাস না মানলেই ধ্বংস, ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি!ট্রাম্প বললেন “শান্তি”, কিন্তু গাজায় কি আসবে যুদ্ধবিরতি?
