জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দীর্ঘ ছয় দশক পর সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি আহমাদ আল-শারা বিশ্বনেতাদের সামনে বক্তব্য রাখলেন। ১৯৬৭ সালের পর এই প্রথম কোনো সিরীয় প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘে অংশ নিলেন। তার ভাষণ ছিল সংক্ষিপ্ত কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ।আল-শারা বলেন, “সিরিয়ার গল্প বেদনা আর আশার মিশেলে গড়া, যা মূলত ন্যায়-অন্যায়ের লড়াই। বহু বছর আমরা বঞ্চনা, দমন-পীড়ন আর অবিচারের শিকার হয়েছি। কিন্তু আমরা আমাদের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করেছি।”তিনি সিরিয়ার সাম্প্রতিক অগ্রগতিকে ‘একটি অনন্য সাফল্য’ বলে অভিহিত করেন। তার মতে, এই অর্জন সম্ভব হয়েছে জনগণের ঐক্য, সাম্প্রদায়িক বিভাজন রোধ এবং দেশকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষার কারণে।রাষ্ট্রপতি আল-শারা তার বক্তব্যে সংস্কার ও পুনর্গঠনের দিকগুলোও তুলে ধরেন। নতুন আইন প্রণয়ন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ীদের সাথে যুক্ত হওয়ার বিষয়কে তিনি বিশেষ সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি তিনি সিরিয়ার ওপর আরোপিত সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানান।যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের নেতা হিসেবে আল-শারা বিশ্বকে স্মরণ করিয়ে দেন, “আমরা এমন দুর্ভোগ পেরিয়েছি যা অন্য কারও জন্য কামনা করি না।” গাজা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা যুদ্ধের ভয়াবহতা গভীরভাবে বুঝি। তাই গাজার নারী, শিশু এবং নিরীহ মানুষের পাশে আমরা দৃঢ়ভাবে দাঁড়াই। আমরা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাই।”