সর্বশেষ
অক্টোবর ১২, ২০২৫

নিউজিল্যান্ডে পড়াশোনা শেষে স্থায়ী হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করবেন কেন?

Spread the love

বাংলাদেশের তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য নিউজিল্যান্ড এখন পড়াশোনার অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে। উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা, বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় এবং পড়াশোনা শেষে ক্যারিয়ার গড়ার অসীম সুযোগের কারণে প্রতিবছর অনেকেই দেশটিতে পড়তে যাচ্ছেন।ভর্তি সেশন ও আবেদন সময়নিউজিল্যান্ডে বছরে দুটি প্রধান ভর্তি সেশন রয়েছে – ফেব্রুয়ারি ও জুলাই। কিছু কোর্সে অক্টোবর বা নভেম্বরে ভর্তি কার্যক্রম চললেও বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর জন্য ফেব্রুয়ারি ও জুলাইই মূল সেশন। সাধারণত ভর্তি হওয়ার অন্তত ৬ থেকে ৮ মাস আগেই আবেদন করতে হয়।টিউশন ফিব্যাচেলর কোর্সের জন্য বার্ষিক টিউশন ফি প্রায় ২২,০০০ থেকে ৩২,০০০ নিউজিল্যান্ড ডলার। মাস্টার্স প্রোগ্রামে এই খরচ বেড়ে দাঁড়ায় ২৬,০০০ থেকে ৩৭,০০০ ডলারে। বিষয়ভেদে খরচ কমবেশি হয়।ভাষাগত যোগ্যতাব্যাচেলর পর্যায়ে ভর্তি হতে IELTS এ সর্বনিম্ন ৬.০ (প্রতিটি সেকশনে ৫.৫) এবং মাস্টার্সে ৬.৫ (প্রতিটি সেকশনে ৬.০) প্রয়োজন। তবে TOEFL ও PTE-ও গ্রহণযোগ্য।ভিসার শর্ত ও জীবনযাত্রার খরচভিসার জন্য প্রতি বছরে অন্তত ২০,০০০ ডলার ব্লক মানি বা ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হয়। মাসিক গড়ে ১,৫০০ থেকে ২,০০০ ডলার খরচ ধরা হয়, তবে অকল্যান্ড ও ওয়েলিংটনের মতো শহরে খরচ তুলনামূলক বেশি।স্টাডি গ্যাপ৫ থেকে ৭ বছরের স্টাডি গ্যাপও গ্রহণযোগ্য, যদি কাজের অভিজ্ঞতা বা উপযুক্ত কারণ থাকে।বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়University of AucklandUniversity of OtagoVictoria University of WellingtonMassey UniversityUniversity of CanterburyAuckland University of Technology (AUT)কাজের সুযোগস্টুডেন্ট ভিসায় সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা পার্ট-টাইম এবং ছুটির সময় ফুল-টাইম কাজের সুযোগ রয়েছে। এভাবে নিজের জীবনযাত্রার খরচ ম্যানেজ করা গেলেও পুরো টিউশন ফি কাভার করা কঠিন।ভিসা ও স্থায়ী হওয়ার সুযোগবাংলাদেশ থেকেই অনলাইনে সহজে ভিসার আবেদন করা যায়। পড়াশোনা শেষে জব ভিসা নিয়ে কাজ করলে ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে PR-এর জন্য আবেদন করা সম্ভব।সবমিলিয়ে নিউজিল্যান্ড পড়াশোনা, কাজ এবং ভবিষ্যতের জন্য দুর্দান্ত এক গন্তব্য। যদিও খরচ তুলনামূলক বেশি, তবে সঠিক পরিকল্পনা থাকলে এটি হতে পারে উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের সোপান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *