জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হলেন বিশ্বের বহু প্রভাবশালী নেতা। তারা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়ে যে কোনো সহায়তা ও পরামর্শ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।লাতভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ভাইরা ভিকে-ফ্রেইবার্গার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্লোভেনিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বরুট পাহোর, সার্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বরিস টাডিচ, লাতভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট এগিলস লেভিটস, ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল, গ্রিসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জর্জ পাপান্দ্রেউ, বুলগেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট রোজেন প্লেভনেলিয়েভ ও পেতার স্তোইয়ানোভ, ক্রোয়েশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো যোসিপোভিচ, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার সাবেক প্রেসিডেন্ট এমলাদেন ইভানিচ এবং মরিশাসের সাবেক প্রেসিডেন্ট আমিনাহ গুরিব-ফাকিম।এছাড়াও বৈঠকে যোগ দেন কমনওয়েলথের সাবেক মহাসচিব, জর্জিয়ার সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের চার সাবেক প্রেসিডেন্ট, বেশ কয়েকজন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বিশ্বব্যাংকের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও নিযামী গঞ্জাভি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারের সহ-সভাপতি ইসমাইল সেরাগেলদিন, মানবাধিকারকর্মী কেরি কেনেডি, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA) এবং জর্জটাউন ইনস্টিটিউট ফর উইমেন, পিস অ্যান্ড সিকিউরিটির প্রতিনিধিরা।অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে প্রফেসর ইউনুসের অবদানের প্রশংসা করেন। কেরি কেনেডি বলেন, “বাংলাদেশ মানবাধিকারের ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি করেছে তা অভূতপূর্ব।” জর্জটাউন ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মেলান ভারভিয়ার ঘোষণা দেন, তারা শিগগিরই বাংলাদেশের জুলাই বিপ্লবের প্রতি আনুষ্ঠানিক সমর্থন জানাবে।প্রফেসর ইউনুস এই সমর্থনে গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “বাংলাদেশ গত ১৫ বছর ধরে এক ভূমিকম্পের মধ্যে ছিল। এর মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৯।” তিনি আরও জানান, জনগণের প্রত্যাশা এখন অনেক উঁচুতে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নপূরণই তাঁর সরকারের প্রধান লক্ষ্য।তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান, আসন্ন সাধারণ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সহযোগিতা প্রদানের জন্য। “আমাদের এই পথচলায় আপনাদের পরামর্শ, সমর্থন ও নৈতিক শক্তি অত্যন্ত প্রয়োজন,” বলেন প্রফেসর ইউনুস।সভায় এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদও উপস্থিত ছিলেন।