ভিত্তিহীন জল্পনা নয় বরং সতর্কবার্তা বিদেশি মদদে চালানো উন্নতমানের জাল নোট ঢুকছে দেশের অর্থনীতিতে ঝুঁকি মূল দাবি নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষেরলিড সরকারি সূত্র, আন্তর্জাতিক তদন্ত এবং নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট কতিপয় ভূমিকা অনুসারে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে উচ্চমানের কাগজ ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যে ছাপানো নকল নোট ঢোকার ঘটনা শনাক্ত করা হয়েছে। পুরাতন ও সাম্প্রতিক বেশ কিছু তদন্ত ও জব্দকৃত নথি ইঙ্গিত দেয় যে এসব নকল নোট কেবল ঘরোয়া কারখানায় নয়, আশেপাশের কোনো দেশের উচ্চতর মুদ্রা ছাপানোর সুবিধায় বিশেষ ব্যবস্থায় তৈরি ও রুটে আনা হচ্ছে—যার লক্ষ্য হতে পারে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করা এবং অবৈধ অর্থায়ন। এই অভিযোগগুলো এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে সব দিক থেকে যাচাই-বাছাই না হলেও নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ ব্যাপক সতর্কতার আহ্বান জানিয়েছে। সম্প্রসারিত বর্ণনা গত কয়েক বছরের মধ্যে ঢাকা ও সীমান্তবর্তী অঞ্চলে জাল নোট জব্দ ও কারচুপির কাহিনি নিতান্তই নতুন নয়। অনুকৃত কাগজ, একই ধরনের ওয়াটারমার্ক এবং অত্যাধুনিক হলোগ্রাম অনুকরণ করে তৈরি নোটগুলো এমনভাবে বানানো হচ্ছে যে খাকি চোখে বা সাধারণ যাচাই মেশিনে তা সহজে পৃথক করা সম্ভব নয়। এর ফলে বাণিজ্যিক লেনদেন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও প্রস্তুতকারক খাত এবং সম্পূর্ণ অর্থনীতির উপর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই ধরনের কাগজ ও নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যের মিল সম্পর্কেও আগের তদন্তগুলোতে পাওয়া তথ্য রয়েছে যা ইঙ্গিত করে নকলকারীরা উন্নত উপকরণ ও দক্ষ প্রিন্টিং প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। বিদেশি মদদ ও মুদ্রা ছাপানোর সুবিধার অভিযোগ কয়েকটি বিশ্বাসযোগ্য অননুমানিক সূত্র ও সুনির্দিষ্ট অনুসন্ধানী প্রতিবেদন দেখায় যে সীমান্তসংলগ্ন অঞ্চলে কখনও কখনও স্বভাবতই রাজনৈতিক বা গোয়েন্দা কার্যক্রম জড়িত প্রতিরূপের অভিযোগ উঠে। কিছু পুরোনো ও সাম্প্রতিক তদন্তে বলা হয়েছে যে অনলাইনেও সংগঠিত ব্যবসায় এলাকা পেরিয়ে উচ্চমানের নোট তৈরি ও সরবরাহের চেষ্টা হয়েছে, এবং এই ধাঁচের ঘটনা কখনও কখনও অন্য দেশের জালনোট বা প্রিন্টিং সুবিধার সঙ্গে যুক্ত হয়ে থাকে—তবে সরাসরি কোনো দেশের সরকারি অনুমোদন বা জড়িত থাকার প্রমাণ প্রায়শই প্রকাশিত হয় না এবং এই ধরনের দাবিকে আলাদা করে যাচাই করা উচিত। প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ব্যাখ্যাগুলোকে আমরা ‘অভিযোগ’ হিসেবে উপস্থাপন করেছি এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পূর্বে প্রতিষ্ঠিত তদন্তের অপেক্ষা জরুরি। নিরাপত্তা বাহিনীর অবস্থা ও পদক্ষেপ বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইনপ্রয়োগকারী বিভাগসমূহ সময়ে সময়ে নকল নোট জব্দ, ছাপাখানা সনাক্তকরণ এবং সংশ্লিষ্ট চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে। Rapid Action Battalion ও জেলা স্তরের বিশেষ টিম দীর্ঘদিনে এ নিয়ে কাজ করছে এবং সীমান্তকেন্দ্রিক নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ আছে। এসব অভিযানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কতিপয় সূত্র জানায় যে তারা সম্পদ ও লোকবল ভিত্তিক সর্বোচ্চ যন্ত্রণা দিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবু সমস্যা জটিল হওয়ায় জনসচেতনতা সৃষ্টি ও ব্যাংকিং ব্যবস্থায় উন্নত যাচাই টেকনোলজি অনিবাৰ্যক। অর্থনৈতিক ও সামাজিক ঝুঁকি নকল নোট বাজারে বেশি পরিমাণে ঢুকলে ব্যবসার আস্থা কমে যায়, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা প্রতারিত হয়ে বড় আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাছাড়া জাল নোটের লেনদেন নাশকতামূলক কার্যক্রমকে অর্থায়ন করতে পারে—স্থানীয় অপরাধ জালিয়াতি, সন্ত্রাসী তৎপরতা বা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা প্রসারে ব্যবহৃত হতে পারে। তাই এই সমস্যাকে কেবল আইনগত বিষয় হিসেবে নয়, জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনীতির রক্ষার প্রশ্ন হিসেবেই দেখা হচ্ছে। সরকার ও ব্যাংকের করণীয় সুপারিশ প্রাথমিকভাবে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণের প্রস্তাব থাকবে1. সীমান্ত চৌকসতা ও কাস্টমস তল্লাশি বাড়ানো2. ব্যাংক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে উন্নত কনট্রোল মেকানিজম ও আরও শক্তিশালী নোট যাচাই মেশিন স্থাপন3. জনসচেতনতা প্রচারণা: কিভাবে নকল নোট চিহ্নিত করবেন তা সম্পর্কে সহজ অনুষঙ্গ তৈরি4. আন্তর্জাতিক সমন্বয় বৃদ্ধি: প্রতিবেশী দেশ ও আন্তর্জাতিক তদন্ত সংস্থার সঙ্গে তথ্য ভাগাভাগি5. অগণিত সন্দেহভাজন ক্লাস্টার ভেঙে তদন্ত চলছে এবং আইনি প্রক্রিয়ায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি এই পরামর্শগুলো ইতিমধ্যেই কিছু মাত্রায় প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে নিরাপত্তা সূত্র জানায়। পাবলিক নোটিস এবং কিভাবে সাধারন মানুষ সতর্ক থাকবে1. যদি কোনো নোটের টেক্সচার অস্বাভাবিক মনে হয় বা ওয়াটারমার্ক, হলোগ্রাম, সিকিউরিটি স্ট্রিপ ঠিক আছে কি না সন্দেহ হলে নিকটস্থ ব্যাংকে যাচাই করান2. বড় লেনদেনের সময় রিসিভিং ব্যক্তির পরিচয় ও প্রমাণপত্র যাচাই করুন3. সন্দেহভাজন নোট পেলে স্থানীয় পুলিশ/ব্যাংকে জানান এবং অনলাইন বা সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করবেন না যাতে অপরাধীরা সহজে খুঁজে না পায়