নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগের ঘোষিত কর্মসূচিকে ঘিরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আগমনকে কেন্দ্র করে নানা আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে।সাক্ষীদের দাবি, এয়ারপোর্টে পৌঁছালেও বিএনপি মহাসচিবকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করতে কেউ এগিয়ে আসেনি। যদিও শারীরিক হামলা বা ডিম নিক্ষেপের মতো ঘটনা ঘটেনি, তথাপি অপমানজনক আচরণের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে। এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।অপরদিকে জামায়াতের প্রতিনিধিরা সফরে যোগ দিলেও তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল সুনির্দিষ্ট ও পরিকল্পিত। ফলে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা অপমানের মুখে পড়তে হয়নি।প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নিউইয়র্ক সফর নিয়েও সমালোচনা চলছে। তাঁর সঙ্গে থাকা দলের কয়েকজনকে সরাসরি হোটেলে না নিয়ে গিয়ে দূতাবাসে বসিয়ে রাখার ঘটনায় কূটনৈতিক শিষ্টাচার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী গোলাম মুর্তজাকে দূতাবাসে রাখা এবং অন্যদের রাস্তা দিয়ে হাঁটিয়ে আনার ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।রাজনৈতিক বিশ্লেষক আসিফ নজরুলসহ ছাত্রসমাজ এবং প্রবাসী নেতারা আগে থেকেই সতর্ক করেছিলেন ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট এমন ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁদের মতে, দেশের রাজনৈতিক সংকট ও অস্থিতিশীলতার জন্য দায়ী অপদক্ষ নেতৃত্ব, যার খেসারত পুরো জাতিকে দিতে হচ্ছে।তবে ভিন্ন মতও আছে। অনেকেই মনে করছেন, এ ধরনের ঘটনাই প্রমাণ করছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করার ব্যর্থতা। সমালোচকরা বলছেন, জনগণের অসন্তোষ তীব্র আকারে ফেটে পড়তে দেরি হবে না।বাংলাদেশের রাজনীতির ক্রান্তিলগ্নে প্রবাসেও এমন বিতর্ক দেশীয় রাজনৈতিক উত্তাপকে আরও ঘনীভূত করছে।
ইউনুসের স্বার্থপরতা অভিযোগে নতুন বিতর্ক, প্রবাসে প্রশ্নের ঝড়?ফখরুলদের হাঁটিয়ে আনার ঘটনায় ক্ষোভ
