লক্ষ লক্ষ বছর আগে মঙ্গলে পানির উপস্থিতির সুস্পষ্ট প্রমাণ বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছেন। তবে সেই পানিতে বা গ্রহটির অন্য কোথাও জীবনের অস্তিত্ব ছিল কিনা, তার উত্তর আজও অজানা। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মঙ্গলের দীর্ঘস্থায়ী বালির ঝড় সেই রহস্য আড়াল করে রেখেছে। সেখানে সপ্তাহের পর সপ্তাহ, কখনো আবার মাসের পর মাস অবিরাম ঝড় বয়ে চলে। ফলে, যদি কোনো প্রাণের চিহ্ন সত্যিই থেকে থাকে, তবে তা হয়তো এখন কয়েক ফুট বালির নিচে চাপা পড়ে আছে।তবে সমস্যা হলো, পৃথিবী থেকে পাঠানো রোভারগুলো এত গভীরে খনন করতে সক্ষম নয়। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, মঙ্গলে প্রাণের চিহ্ন অনুসন্ধান সম্ভব হবে কেবল তখনই, যখন মানুষ সরাসরি মঙ্গলে পদার্পণ করবে। পৃথিবী থেকে মঙ্গলে পৌঁছাতে গড়ে প্রায় সাত মাস সময় লাগে। নাসা ও অন্যান্য মহাকাশ সংস্থা আশা করছে, ২০৩৫ থেকে ২০৪০ সালের মধ্যেই মানুষকে মঙ্গলে পাঠানোর চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। এর জন্য এখনো উন্নত প্রযুক্তি ও কৌশল নিয়ে নিরলস গবেষণা চলছে।মঙ্গলের বুকে প্রাণের চিহ্ন লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনা বিজ্ঞান জগতে এক উত্তেজনাপূর্ণ রহস্য। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে আগ্রহের শেষ নেই।সূত্র: নাসা, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ESA),