ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরাসরি চিঠি পাঠিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক একাধিক মারণাত্মক হামলার পর এই চিঠি লাতিন আমেরিকার কূটনীতিতে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।চিঠিটি ৬ সেপ্টেম্বর তারিখে লেখা, যা ভেনেজুয়েলার ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেলসি রদ্রিগেজ টেলিগ্রামে প্রকাশ করেন। সেখানে মাদুরো যুক্তরাষ্ট্রের আনা মাদক পাচারের অভিযোগকে ‘ভুয়া প্রচারণা’ আখ্যা দেন এবং ট্রাম্পের বিশেষ দূত রিচার্ড গ্রেনেলের সঙ্গে সরাসরি সংলাপের প্রস্তাব রাখেন।উল্লেখ্য, ২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ১১ জন ভেনেজুয়েলানের মৃত্যু হয়, যাদের ওয়াশিংটন মাদক পাচারকারী বলে দাবি করে। তবে এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য প্রকাশ করেনি হোয়াইট হাউস।চিঠিতে মাদুরো লেখেন, ভেনেজুয়েলা মাদক উৎপাদনমুক্ত একটি দেশ এবং তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে প্রমাণস্বরূপ কিছু তথ্য পাঠাচ্ছেন। একই সঙ্গে তিনি লাতিন আমেরিকায় শান্তি ও সংলাপের আহ্বান জানান।অন্যদিকে, ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, চিঠি পেয়েছেন কি না তা নিশ্চিত করতে চান না। তবে পরিস্থিতি নিয়ে ‘দেখা যাক কী হয়’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।ট্রাম্প প্রশাসন আগে থেকেই মাদুরোকে বিশ্বের অন্যতম বড় ‘নারকো-ট্রাফিকার’ বলে অভিহিত করেছে এবং তার মাথার দাম ৫০ মিলিয়ন ডলার ঘোষণা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে মাদকবিরোধী অভিযানের নামে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে, যা মাদুরো ‘শাসন পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করেছেন।এদিকে, ভেনেজুয়েলা সামরিক মহড়া চালাচ্ছে এবং রাশিয়ান তৈরি যুদ্ধবিমান প্রদর্শনের মাধ্যমে শক্তি প্রদর্শন করছে। পাশাপাশি লাখ লাখ মিলিশিয়া সদস্যকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।চিঠি প্রকাশের পর গ্রেনেল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলা এখনও যুদ্ধ এড়িয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে পারে।