খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের সম্প্রতি বলেছেন যে ইসলামী ঐক্য প্রতিষ্ঠা করলে এবং তা রক্ষা করার জন্য জনগণের ত্যাগ ও কুরবানির মনোভাব থাকলে আগামী সংসদকে ইসলামানুভূত একটি সংসদে রূপান্তর করাকে কেউ রোধ করতে পারবে না। তিনি দৃঢ়ভাবে দাবি করেছেন যে দেশ ও সমাজে ইসলাম ও শরিয়া বিদ্বেষী কোনো শক্তি আর দাঁড়াতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। এই বক্তব্য খেলাফত মজলিস ও অন্যান্য ইসলামী সংগঠনের ঐক্যের প্রেক্ষাপটে এসেছে। সম্প্রসারিত প্রতিবেদন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, ঐক্যের জন্য প্রয়োজন ত্যাগ ও কুরবানির মনোভাব। তিনি আরো বলেন, শুধু রাজনৈতিক ঐক্যই নয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐক্য নির্মাণেও সক্রিয়তা প্রয়োজন, যাতে ইসলামের মূল্যবোধ ও নৈতিকতা রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রতিফলিত হতে পারে। অনুষ্ঠানে তিনি জনসম্মুখে আহ্বান জানান যে সকল ইসলামি দল ও সামাজিক সংগঠন একসাথে মিলিত হয়ে সুসংহত কৌশল গ্রহণ করলে আগামী নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ ফল পাওয়া সম্ভব। বিশ্লেষণ রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভিন্ন ইসলামি দল একে অপরের সাথে সংলাপ ও সমঝোতায় ঝুঁকছে। খেলাফত মজলিসের নেতৃত্বাধীন অংশগ্রহণগুলো দেখাচ্ছে যে কওমি ও অন্যান্য ঘরানার দলগুলো নির্বাচনী মঞ্চে সমন্বিত ভূমিকা নিতে চায়। তাদের বক্তব্যে বারবার উদ্ভাসিত হচ্ছে যে রাজনৈতিক লক্ষ্য হাসিলের জন্য ধারাবাহিকভাবে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা ও সমঝোতা অপরিহার্য। এটি দেশীয় রাজনৈতিক নকশায় একটি নতুন অধ্যায় রচনা করতে পারে। প্রতিহিংসা ও আইনগত সীমা বিষয়ে মন্তব্য ড. আহমদ আবদুল কাদের তার বক্তৃতায় জোর দেন যে তারা কোনভাবেই সহিংস বা অবৈধ পথকে সমর্থন করবে না; সকল কার্যক্রম সাংবিধানিক ও আইনি নিয়মের মধ্যে করে রাজনৈতিক লক্ষ্যে পৌঁছানোর তাগিদ তার বক্তব্যের এক অংশ। এই ধরনের দাবি রাজনৈতিক আলোচনায় উত্তেজনা কমাতে ভূমিকা রাখতে পারে যদি তা বাস্তবে প্রযোজ্য হয়। উপসংহার খেলাফত মজলিস ও সমমানের ইসলামি দলগুলোর ঐক্য প্রসঙ্গটি এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্ব পেতে শুরু করেছে। ড. আহমদ আবদুল কাদেরের আহ্বান ও দিকনির্দেশনা যদি বাস্তবায়িত হয়, তা আগামী নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও সংসদীয় মঞ্চে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।