সর্বশেষ
অক্টোবর ১৩, ২০২৫

ইউপিডিএফের ষড়যন্ত্রে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণ

Spread the love

পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি ও গুইমারা উপজেলায় গত ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও দাঙ্গা উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেছে সশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো। তবে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধৈর্যশীল ও মানবিক পদক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং একটি বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা প্রতিহত করা সম্ভব হয়।সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিগত কয়েকদিন ধরে ইউপিডিএফ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো পার্বত্য অঞ্চলে পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। স্থানীয় নারী ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়ানোর পাশাপাশি, বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দেশীয় অস্ত্রসহ পাহাড়ি এলাকায় ঢুকিয়ে সহিংসতা উসকে দেওয়া হচ্ছে।২৭ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি পৌরসভা এলাকায় ইউপিডিএফের কর্মীরা গুলি, ভাঙচুর, অ্যাম্বুলেন্সে হামলা ও রাস্তা অবরোধের মতো কর্মকাণ্ড চালায়। দুপুর নাগাদ ঘটনাটি পাহাড়ি-বাঙালির মধ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় রূপ নিলে জেলা প্রশাসন খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় ১৪৪ ধারা জারি করে। সারারাত অভিযান চালিয়ে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।পরদিন ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে ইউপিডিএফ গুইমারার রামসু বাজার এলাকায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় সেনা ও বিজিবি সদস্যদের ওপর দেশীয় অস্ত্র, ইটপাটকেল ও গুলতি দিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে তিনজন সেনা কর্মকর্তা ও দশজন সদস্য আহত হন। একইসঙ্গে বিজিবির গাড়ি ভাঙচুর ও সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে।সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা ঘটে সকাল ১১টার দিকে, যখন রামসু বাজারের পশ্চিমের পাহাড় থেকে ইউপিডিএফের সশস্ত্র দল অটোমেটিক অস্ত্র দিয়ে ১০০ থেকে ১৫০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে সেনা সদস্যসহ এলাকাবাসী গুলিবিদ্ধ হয়। পরে সেনাবাহিনীর টহলদল অভিযান চালালে সন্ত্রাসীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।এছাড়া, বহিরাগত দুষ্কৃতিকারীরা রামসু বাজার ও আশপাশের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। অতিরিক্ত সেনাদল মোতায়েনের মাধ্যমে বিকেল ৪টার মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।বিজ্ঞপ্তিতে সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ১৯ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে সংঘটিত এসব ঘটনা একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ। এ বিষয়ে বিভিন্ন প্রমাণাদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। সেনাবাহিনী পার্বত্য অঞ্চলের সকল জনগোষ্ঠীকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের এই অবিচ্ছেদ্য অংশের অখণ্ডতা রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং প্রয়োজনে যেকোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *