ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা সিটির ওপর তাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্থল অভিযানের গতি বাড়িয়েছে। বুধবার সেনাবাহিনী ঘোষণা করে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার জন্য একটি “অস্থায়ী করিডর” খোলা রাখা হবে, যাতে সাধারণ মানুষ দক্ষিণ দিকে সরে যেতে পারে। সেনাবাহিনীর আরবি ভাষার মুখপাত্র আভিখাই আদ্রিয়ি জানান, এই পালানোর রাস্তা সলাহউদ্দিন সড়ক দিয়ে খোলা হবে।সেনাবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এয়াল জামির বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হামাসকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করা। এজন্য স্থলবাহিনী, আকাশ হামলা ও গোয়েন্দা তৎপরতা একসঙ্গে চালানো হচ্ছে।”ইসরায়েলি সামরিক সূত্রের হিসাব অনুযায়ী, এখনো গাজার কেন্দ্রীয় অংশে প্রায় ২ হাজার থেকে ৩ হাজার হামাস যোদ্ধা অবস্থান করছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ দক্ষিণে পালিয়েছে, তবে বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকা পড়েছে।আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়াজাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, ইসরায়েলের এই অভিযান “গণহত্যার রূপ নিয়েছে”। তিনি আরও অভিযোগ করেন, “ইসরায়েল আপাতদৃষ্টিতে কোনো যুদ্ধবিরতি চাইছে না, বরং শেষ পর্যন্ত এগিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর।”ফ্রান্সের পক্ষ থেকেও অভিযানের নিন্দা জানানো হয়েছে এবং একে “অযৌক্তিক ধ্বংসযজ্ঞ” বলা হয়েছে।এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “আমি শুনেছি হামাস পুরনো মানবঢাল কৌশল ব্যবহার করছে। যদি সেটা সত্যি হয়, তবে তারা বড় সমস্যায় পড়বে।”হামাস এই অভিযানের নিন্দা জানিয়ে একে “আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত জাতিগত নিধনযজ্ঞ” বলে উল্লেখ করেছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার একদিনেই অন্তত ৪৪ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে।সূত্র: WION