একসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা হিসেবে পরিচিত ছিলেন মাহমদুল হাসান। রাজনৈতিক মহলে একসময় তাঁর প্রভাবশালী অবস্থান নিয়ে আলোচনার অন্ত ছিল না। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে নতুন পরিচয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন তিনি। এবার তিনি পরিচিত হচ্ছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমিরের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে।ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেই অবাক হয়ে প্রশ্ন তুলছেন কিভাবে একসময়ের ক্ষমতাসীন দলের ঘনিষ্ঠজন হঠাৎ জামায়াতের শীর্ষ নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ পদে চলে এলেন। কেউ কেউ বলছেন রাজনীতিতে এমন রূপান্তর অস্বাভাবিক নয়, আবার অনেকে সমালোচনায় মুখর।সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারকারীদের একাংশ তির্যক মন্তব্য করে লিখেছেন, তিনি আগেও ভাল ছিলেন, এখনও ভাল আছেন। আবার কেউ লিখেছেন, রাজনীতির মঞ্চে এই নাটকীয় রূপান্তর ভবিষ্যতের বড় ধরনের ইঙ্গিত বহন করছে।বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ঘটনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে। ক্ষমতাসীন দলের কাছের মানুষ হঠাৎ করে বিরোধী শিবিরে শক্ত অবস্থানে যাওয়া নিছক কাকতালীয় নয় বলে অনেক বিশ্লেষক ধারণা করছেন।এই প্রসঙ্গে এখনো মাহমদুল হাসান বা জামায়াতের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে আলোচনা-সমালোচনার ঢেউ উঠেছে, তা দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।