মধ্যপ্রাচ্যের দীর্ঘ দুই বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটাতে এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে পৌঁছেছে বিশ্ব। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, ইসরায়েল ও হামাস অবশেষে গাজা শান্তি চুক্তির প্রথম ধাপে একমত হয়েছে।চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি, ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময়, সেনা প্রত্যাহার এবং গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। ইসরায়েলি সরকার আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৫টায় বৈঠকে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিলে তাৎক্ষণিকভাবে অস্ত্রবিরতি কার্যকর হবে।গাজা ও ইসরায়েল জুড়ে উৎসবের আমেজ — কোথাও আতশবাজি, কোথাও কান্না ও আলিঙ্গন। টেল আভিভের “হোস্টেজ স্কয়ার” জনাকীর্ণ, মানুষ হাতে ইসরায়েলি ও মার্কিন পতাকা উড়িয়ে নাচছে। এক নারী BBC-কে বলেন, “এটা যেন জাদুকরি দিন।”এদিকে গাজায় আনন্দের সঙ্গে চোখে জল — দুই বছর ধরে যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখা ফিলিস্তিনিরা এখন শান্তির আশায় বুক বাঁধছেন। “আজ আমরা বোমার শব্দে নয়, আশার খবরে ঘুম ভাঙলাম,” বলেন খান ইউনিসের বাসিন্দা উম হাসান।মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি বলেন, “বিশ্ব আজ এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী।”যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মার এই চুক্তিকে বলেছেন “বিশ্বের জন্য গভীর স্বস্তির দিন।”চুক্তি অনুমোদন পেলে আগামী সোমবারের মধ্যে সকল জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন, গাজার পুনর্গঠন ও হামাসের অস্ত্র সমর্পণ সংক্রান্ত ধাপগুলোই নির্ধারণ করবে স্থায়ী শান্তির ভবিষ্যৎ।