চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের পাঁচলাইশ মডেল থানা পুলিশের দ্রুত ও দক্ষ অভিযানে চোরাইকৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার হয়েছে এবং এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এক চোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।মামলার বাদী মোঃ নুরুল মোস্তফা (৩৩), একজন ব্যবসায়ী, সম্প্রতি তার মালিকানাধীন লাল রঙের বাজাজ মোটরসাইকেল (১৬০ সিসি, রেজিঃ চট্টমেট্রো-ল-১৮-৪৩৫৭) বিক্রির জন্য ভাতিজা মোঃ মিকাতের (২০) ফেসবুক আইডি থেকে একটি বিজ্ঞাপন দেন। ওই বিজ্ঞাপন দেখে যোগাযোগ করেন শিবলী সাদিক (৪২) নামের এক ব্যক্তি, যিনি নিজেকে ক্রেতা হিসেবে পরিচয় দেন।২৮ আগস্ট ২০২৫ তারিখ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে শিবলী সাদিক ও তার সহযোগী রিনা আক্তার (৩৩) মোটরসাইকেলটি “টেস্ট ড্রাইভ” করার কথা বলে মির্জারপুলস্থ কে-প্লাজার সামনে আসে। বাদীর ভাতিজা সরল বিশ্বাসে মোটরসাইকেলের চাবি দেয়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই শিবলী মোটরসাইকেল নিয়ে উধাও হয়ে যায় এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।ঘটনার পর বাদী থানায় অভিযোগ করলে পাঁচলাইশ মডেল থানায় মামলা (নং-২১, তারিখঃ ২৯/০৮/২০২৫, ধারা-৪০৬/৪২০/১০৯ দণ্ডবিধি) রুজু হয়।তদন্ত কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) মোঃ আশরাফ উদ্দিন সরদার তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা ও গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ৬ অক্টোবর রাত ২টার দিকে বন্দর থানার ইছাক ডিপু গেট সংলগ্ন এলাকা থেকে শিবলী সাদিককে গ্রেফতার করেন।জিজ্ঞাসাবাদে শিবলী জানায়, মোটরসাইকেলটি তার শ্বশুরবাড়ি নোয়াখালীর কবিরহাট থানার ভুইয়ারহাট এলাকায় লুকানো রয়েছে। পরবর্তীতে পুলিশ সেখান থেকে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত বাইকের আনুমানিক মূল্য ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।অভিযুক্ত শিবলী সাদিককে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।সিএমপি’র কর্মকর্তারা জানান, এই অভিযান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ দমন কার্যক্রমে আরেকটি বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।সূত্র: সিএমপি পাঁচলাইশ মডেল থানা, পুলিশ রিপোর্ট