বাংলাদেশে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর করার অঙ্গীকার করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস।বুধবার ঢাকার স্টেট গেস্ট হাউস যমুনায় ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, “নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। রমজানের আগে ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগেই ভোট অনুষ্ঠিত হবে।”প্রধান উপদেষ্টা জানান, দীর্ঘদিন পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন ফিরে আসায় তরুণ সমাজের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এবার রেকর্ড সংখ্যক তরুণ ভোটার প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।তিনি জোর দিয়ে বলেন, “জাতীয় নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ, স্বচ্ছ এবং উৎসবমুখর। কোনো মহল বিলম্ব ঘটানোর চেষ্টা করলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন আয়োজন করবে।”ইউরোপীয় এমইপিদের প্রশংসাবৈঠকে ইউরোপীয় এমইপিরা বাংলাদেশের নির্বাচনকে ঐতিহাসিক মোড় পরিবর্তনকারী মুহূর্ত হিসেবে দেখেন। একজন আইনপ্রণেতা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ১৪ মাসের কার্যক্রমকে “অসাধারণ” বলে আখ্যা দেন। অপর এক ডাচ এমইপি মন্তব্য করেন, “বাংলাদেশ বিশ্বের কয়েকটি দেশের একটি যেখানে বিষয়গুলো সঠিক পথে এগোচ্ছে।”রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাড়তি সহযোগিতা চাইলেন ইউনুসপ্রধান উপদেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রোহিঙ্গা সংকটে বাড়তি সহায়তার আহ্বান জানান। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে যাওয়া ক্যাম্পের বিদ্যালয়গুলো পুনরায় চালু করতে সহযোগিতা প্রয়োজন।বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, যিনি শ্রম খাতে সংস্কার তুলে ধরেন, এবং এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মুরশেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
