বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আব্দুল হালিম বলেছেন, “আমরা আর বিভাজনের বাংলাদেশ দেখতে চাই না। এ দেশের প্রতিটি নাগরিকই গর্বিত সন্তান।” তিনি তার বক্তৃতায় পরামর্শ দিয়েছেন, ধর্ম, মতাদর্শ বা রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা চলবে না।তিনি জানিয়ে দেন, “আমাদের ছাত্ররাও ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’ এরকম স্লোগান তুলে থাকে। আমাদের লক্ষ হলো—একক ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা, যেখানে বিভাজন নয়, ঐক্য থাকবে।”অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে বললেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীলদের সচেতন হতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “সমাজে বৈষম্য দূর করে ন্যায়ভিত্তিক, ঐক্যবদ্ধ, সমৃদ্ধ ও কল্যাণমুখী বাংলাদেশ গড়তে হবে। এ দেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও যে অসমতা ও অবিচারে জর্জরিত, তা দূর করতে হবে।”মাওলানা হালিম এ কর্মশালায় ধর্ম ও রাজনীতিতে বিরূপ মনোভাবের কারণে তরুণদের চাকুরিতে অগ্রাধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়া, হিজাব ও দাড়ি থাকার কারণে বৈষম্য, এসব ইস্যু উত্থাপন করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, নতুন প্রজন্ম বিভাজনের রাজনীতির পরিবর্তে ন্যায্য ও মর্যাদাবান সমাজ চাইবে।কর্মশালার হয়রুমে সভাপতিত্ব করেন সৈয়দপুর উপজেলা ও শহর জামায়াতের নেতৃবৃন্দ। জেলা ও অঞ্চল পর্যায়ের জামায়াত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।> “আমরা সবাই বাংলাদেশী — ধর্ম, বিশ্বাস বা রাজনৈতিক মতের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমাদের পরিচয় এক — স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের নাগরিক।” — মাওলানা আব্দুল হালিম
সুন্দর বক্তব্য।।কথার সাথে কাজের মিল হয়ে গেলে আমরা অনন্য এক দেশ উপহার পাবো ইনশাআল্লাহ ।