দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর কার্যক্ষমতা নিয়ে অনেক সময় নানা সমালোচনা শোনা গেলেও এবার তাঁদের তৎপরতার প্রশংসা করতেই হয়।আজ ৪ অক্টোবর ২০২৫, গভীর রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে হালট্রিপ কেলেঙ্কারির অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত ও প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ তাজবীর হাসানকে গ্রেফতার করেছে একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা।সূত্র জানায়, তাজবীর হাসান ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে তুরস্কের পাসপোর্ট ব্যবহার করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি কুখ্যাত অর্থপাচারকারী পি কে হালদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত।২০১৯ সালের শেষ দিকে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়া অনলাইন ট্রাভেল কোম্পানি হালট্রিপ ২০২০ সালে গ্রাহকদের শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে হঠাৎই উধাও হয়ে যায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় অসংখ্য যাত্রী, ট্রাভেল এজেন্সি ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।অভিযোগ রয়েছে, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে দেশ থেকে পালানোর পর তাজবীর হাসান অন্তত দুটি দেশের নাগরিকত্ব (তুরস্ক ও ভানুয়াতু) গ্রহণ করেন। এছাড়া তাঁর মাল্টার রেসিডেন্স পারমিট ও স্পেনের গোল্ডেন ভিসা রয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সূত্র জানিয়েছে।তদন্তে জানা গেছে, পালিয়ে যাওয়ার পর তিনি দুবাইতে স্থায়ী হন এবং বাংলাদেশের কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে দুবাই, মাল্টা ও স্পেনে রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগে যুক্ত ছিলেন। পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মকর্তাকে ভানুয়াতু এবং তুরস্কের নাগরিকত্ব কিনতে সহায়তা করেছেন।বর্তমানে তাঁকে এয়ারপোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং আদালতে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে।সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা সংস্থা জানিয়েছে, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে অর্থপাচার ও নাগরিকত্ব বাণিজ্য সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে।যদি কেউ হালট্রিপ কেলেঙ্কারির কারণে আর্থিক ক্ষতির শিকার হন, তাঁরা নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।সূত্র জুলকারনাইন সায়ের
হালট্রিপ কেলেঙ্কারির মূল হোতা তাজবীর হাসান অবশেষে ধরা! শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে মধ্যরাতে গ্রেফতার
