পিকে হালদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও হালট্রিপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ তাজবীর হাসান আবারও আলোচনায়। শত শত কোটি টাকার প্রতারণা ও গ্রাহকদের জীবন দুর্বিষহ করে দেওয়া এই ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর সম্প্রতি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন বলে জানা গেছে।বিশ্বস্ত সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে তাজবীর হাসান একটি তার্কিশ পাসপোর্ট ব্যবহার করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করেন। তার পাসপোর্ট নম্বর U24419***। তুরস্কের নাগরিকত্ব ছাড়াও তার কাছে রয়েছে ভানুয়াতুর একটি পাসপোর্ট RV0115*** এবং বাংলাদেশি পাসপোর্ট A00020***।হালট্রিপ কেলেঙ্কারিতে প্রতারিত হয়েছেন অসংখ্য যাত্রী ও ট্রাভেল এজেন্সি। গ্রাহকদের শত শত কোটি টাকা নিয়ে হঠাৎ উধাও হয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটি। অভিযোগ রয়েছে, এই টাকার বড় অংশ বিদেশে পাচার করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ৯০ শতাংশ মালিক ছিলেন পিকে হালদার এবং বাকি ১০ শতাংশের মালিক ছিলেন তাজবীর হাসান।কেলেঙ্কারির পরপরই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান তাজবীর। তবে এবার তার আকস্মিক প্রত্যাবর্তন নতুন প্রশ্ন তৈরি করেছে। জানা গেছে, খুব দ্রুতই তিনি বাংলাদেশ থেকে দুবাই পাড়ি জমাতে পারেন।আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের মতে, তাজবীর হাসানকে দেশত্যাগের সুযোগ দেওয়া হলে বহু ভুক্তভোগীর টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই শেষ হয়ে যাবে। এছাড়া, পিকে হালদার চক্রের নেপথ্যের নানান গোপন তথ্য তার কাছেই রয়েছে।এছাড়াও কিভাবে লক্ষ লক্ষ ডলার বিনিয়োগ করে তিনি তুরস্ক ও ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব পেয়েছেন সেটিও খতিয়ে দেখা জরুরি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।ভুক্তভোগীরা বলছেন, এ ধরনের ব্যক্তিদের দেশে এনে বিচার না করলে আর্থিক অপরাধীরা আরও উৎসাহিত হবে। তাই সরকারের প্রতি তাদের দাবি, কোনোভাবেই তাজবীর হাসানকে বাংলাদেশ থেকে পালাতে দেওয়া যাবে না।