বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম আবারও অশান্ত হয়ে উঠেছে। দুর্গা উৎসবের সময় খাগড়াছড়িতে এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার পর থেকে জেলায় অস্থিরতা শুরু হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে কিশোরীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হলে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়।পরের দিন থেকেই জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়। মামলা দায়ের হলেও সব আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয় অবরোধ কর্মসূচি। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। শনিবার থেকে পাহাড়ি ও বাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে খাগড়াছড়ি। জনজীবন স্থবির হয়ে পড়ায় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে।বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দাবি করেছে, এ ঘটনার সাথে পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন ইউডিএফ (United Democratic Front) জড়িত। তাদের দীর্ঘদিনের লক্ষ্য পাহাড়কে বাংলাদেশ থেকে আলাদা করা। সেনাবাহিনীর মতে, ভারতের প্রত্যক্ষ ইন্ধন এবং র’এর সহযোগিতায় এ ধরনের অস্থিতিশীলতা তৈরি করা হচ্ছে।বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের মাস্টারপ্ল্যান হলো পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টি করে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করা। অভিযোগ রয়েছে, ইউডিএফ ও কুকিচীন আর্মির মতো সংগঠনগুলো ভারতীয় স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছে। এসব গোষ্ঠী আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এমন বার্তা ছড়াতে চায় যে পাহাড়িরা বঞ্চিত, নিপীড়িত এবং স্বায়ত্তশাসনের দাবি নিয়ে বিশ্ববাসীর সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছে।প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে কেন দুর্গা উৎসবের সময় এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলো এবং এর পেছনে আসলেই কী ভারতের কূটচাল লুকিয়ে আছে।