আমেরিকার প্রভাবশালী কনজারভেটিভ নেতা চার্লি কার্ককে গত ১০ সেপ্টেম্বর ইউটা ভ্যালি ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় টাইলার রবিনসন নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু অবিশ্বাস্য বিষয় হলো ১৯৯৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত নিকোলাস কেজ অভিনীত সিনেমা স্নেক আইস এ ঘটনার সঙ্গে হুবহু মিল পাওয়া যাচ্ছে।সিনেমায় দেখা যায় প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে হত্যা করা হয় একটি বক্সিং ম্যাচে। চরিত্রটির নাম চার্লস কার্কল্যান্ড, যাকে গুলি করে হত্যা করে একজন বক্সার টাইলার। বাস্তবে নিহত কার্কের পুরো নাম চার্লস জেমস কার্ক এবং তাকেও গুলি করা হয় গলায়। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির নামও টাইলার। এত মিল কাকতালীয় হলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।আরও চমকপ্রদ তথ্য হলো সিনেমার ঘটনাটির তারিখও ১০ সেপ্টেম্বর। এমনকি গুজব ছড়িয়েছে সিনেমার শুটিং হয়েছিল ট্রাম্পের তাজ মহল হোটেলে। অনেকে বলছেন, হলিউড কি তবে ভবিষ্যতের রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের ছক আগে থেকেই আঁকতে পারে? কেউ কেউ এটাকে সময় ভ্রমণ বা বিশ্ব আসলে এক ধরনের সিমুলেশন বলে অভিহিত করছেন।টুইটার, ফেসবুক, রেডিটে নেটিজেনরা হতবাক প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, “আমি অবিশ্বাস্যভাবে স্তম্ভিত। সিনেমা কি তবে বাস্তবতাকে প্রোগ্রাম করে?” অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, “হলিউড হয়তো সরকারের গোপন পরিকল্পনা ফাঁস করে সিনেমায় ঢুকিয়ে দেয়।”এছাড়াও স্নেক আইস এ আটলান্টিক সিটিতে জেজেবেল নামক এক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের কথাও উঠে আসে। কারও কারও দাবি একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট জেজেবেল অভিশাপ ছড়িয়েছিল কার্ককে লক্ষ্য করে। যদিও এসব দাবি এখনও নিছক গুজব মাত্র।ঘটনাটি ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে ঝড় বইছে, আর পুরনো সিনেমার কাহিনি যেন মিলে যাচ্ছে ২০২৫ সালের বাস্তব এক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে।সূত্র: WION