বার্সেলোনার সোনালী অধ্যায়ের নেপথ্যে এক মহীরুহের নাম জাভি হার্নান্দেজ। তার কৌশলগত দূরদর্শিতা আর সাহসী সিদ্ধান্তই আজকের দৃশ্যপটকে বদলে দিয়েছে। দীর্ঘদিন ইনজুরি আর অনিয়মিত পারফরম্যান্সে সমালোচিত উসমান দেম্বেলে, জাভির হাত ধরে খুঁজে পান নিজের হারানো ধারাবাহিকতা।২০২১ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর জাভি প্রথম থেকেই বিশ্বাস রেখেছিলেন দেম্বেলের ওপর। তখন তিনি বলেছিলেন দেম্বেলের যোগ্যতা আছে নিজের পজিশনে সেরা হওয়ার এবং বিশ্বসেরাদের কাতারে জায়গা করে নেওয়ার। সেই ভবিষ্যদ্বাণী আজ সত্যি হলো। বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ফুটবল পুরস্কার ব্যালন ডি’অর জিতলেন উসমান দেম্বেলে।তবে গল্পের এখানেই শেষ নয়। মাত্র ১৫ বছর বয়সে লামিন ইয়ামালকে প্রথমবার বার্সেলোনার জার্সিতে নামানোর সাহসটিও দেখিয়েছিলেন জাভি। আজ সেই কিশোরই ব্যালন ডি’অরের রানার্সআপ। দেম্বেলে প্রথম এবং লামিন দ্বিতীয় – এমন অনন্য দৃশ্যপট ফুটবল ইতিহাসে বিরল।এই দুই তারকার সাফল্যে যে মানুষটির মুখে আজ সবচেয়ে বড় হাসি, তিনি বার্সার প্রাক্তন কোচ জাভি। নিজের এক সময়কার শিষ্যদের শীর্ষ মঞ্চে উজ্জ্বল দেখতে পাওয়া তার জন্য এক গর্বিত মুহূর্ত।ফুটবল বিশেষজ্ঞদের মতে, দেম্বেলে ও লামিনের এই সাফল্য প্রমাণ করে দিয়েছে খেলোয়াড় তৈরি ও মানসিক দৃঢ়তা জাগাতে একজন প্রকৃত কোচের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আর সে ক্ষেত্রে জাভির নাম বার্সার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।