হৃদরোগ ও মুখের স্বাস্থ্য – এ দুইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহ করা সম্পর্কের সত্যতা এবার আরও জোরালো হলো। ফিনল্যান্ডের তাম্পেরে ইউনিভার্সিটির গবেষকরা নতুন এক গবেষণায় জানিয়েছেন, মুখ ও মাড়িতে থাকা ব্যাকটেরিয়ার জেনেটিক চিহ্ন করোনারি আর্টারির মারাত্মক প্লেক থেকে পাওয়া গেছে।গবেষণায় দেখা গেছে, করোনারি আর্টারি ডিজিজে আক্রান্ত বা হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকে মারা যাওয়া রোগীদের দেহ থেকে সংগ্রহ করা প্লেকের প্রায় ৪০ শতাংশের মধ্যেই মুখের ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি রয়েছে। বিশেষ করে ভারিডান্স স্ট্রেপ্টোকক্কি (viridans streptococci) গোষ্ঠীর ব্যাকটেরিয়া গভীরভাবে জমাট বেঁধে ছিল এমন স্থানে, যেখানে শরীরের ইমিউন সিস্টেম সহজে পৌঁছাতে পারে না।গবেষকরা মনে করছেন, এই ঘুমন্ত ব্যাকটেরিয়াগুলো অন্যান্য সংক্রমণ, খারাপ খাদ্যাভ্যাস বা মানসিক চাপের কারণে সক্রিয় হয়ে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। এতে আর্টারির প্লেক ফেটে গিয়ে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে প্রাণঘাতী হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।যদিও এখনো পরিষ্কার নয় ঠিক কীভাবে মুখের ব্যাকটেরিয়া রক্তনালীতে পৌঁছে যায়, তবে এই গবেষণা মুখের যত্ন ও মৌখিক স্বাস্থ্যকে হৃদরোগ প্রতিরোধের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচনার শক্তিশালী প্রমাণ হাজির করেছে।সোর্স: তাম্পেরে ইউনিভার্সিটি, ফিনল্যান্ড