মানুষের সবচেয়ে কাছের প্রাণি হিসেবে পরিচিত কুকুরকে বলা হয় বিশ্বস্ত বন্ধু। অন্যদিকে, বিড়ালকে ঘিরে প্রচলিত আছে এক ভিন্ন রূপক—তারা যেন নিজেদের মানুষরাই মালিক মনে করে। কিন্তু বিজ্ঞানীদের প্রশ্ন হলো, আসলেই কোন প্রাণি বেশি বুদ্ধিমান—বিড়াল নাকি কুকুর?প্রাণীর বুদ্ধিমত্তা বিচার করতে গবেষকেরা সাধারণত তিনটি বিষয় বিবেচনায় নেন—১. সামাজিক বুদ্ধিমত্তা২. পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে ধারণা গঠন৩. সমস্যা সমাধানের ক্ষমতাসামাজিক বুদ্ধিমত্তায় কুকুর অনেক বেশি পারদর্শী। তারা সহজেই মানুষের ইশারা, অঙ্গভঙ্গি ও মনোযোগ বোঝে। এজন্য কুকুরছানাদের ট্রেনিং দেওয়া বা পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তারা সহজে মানুষের সঙ্গে মিশতে শেখে।তবে বিড়ালও পিছিয়ে নেই। গবেষণা বলছে, বিড়ালরা তাদের নাম চিনতে পারে এবং অন্যান্য শব্দের সঙ্গে পার্থক্য করতে সক্ষম। বিহেভিয়ারেল জার্নালে প্রকাশিত ২০১৯ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, একজন মানুষ বিড়ালকে যত বেশি মনোযোগ দেয়, বিড়ালও তার প্রতি তত বেশি সাড়া দেয় এবং সময় কাটায়।আরেকটি গবেষণায় বিড়াল ও কুকুর উভয়কেই মানুষের ইশারার মাধ্যমে লুকানো খাবার খুঁজে বের করতে বলা হয়। চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা যায়, এই ক্ষেত্রে দুই প্রাণির পারফরম্যান্স ছিল প্রায় সমান।মস্তিষ্কের আকারের তুলনায় কুকুর কিছুটা এগিয়ে। কারণ, কুকুরের মস্তিষ্ক আপেক্ষিকভাবে বিড়ালের চেয়ে বড়। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই তুলনা সবসময় কার্যকর নয়। কারণ প্রতিটি প্রাণি তাদের নিজস্ব প্রজাতির প্রয়োজনীয় দক্ষতায় পারদর্শী।সুতরাং, কে বেশি স্মার্ট—এ প্রশ্নের উত্তর একপাক্ষিক নয়। বিড়াল ও কুকুর উভয়েই তাদের নিজস্ব গুণে অনন্য এবং মানুষের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ।সূত্র:Behavioral Processes Journal (2019)