সর্বশেষ
অক্টোবর ১৩, ২০২৫

চীনের সাথে ট্রেড ডিলের খোঁজে তাইওয়ানকে ‘বলির পাঁঠা’ বানালেন ট্রাম্প

Spread the love

ওয়াশিংটন পোস্টের বরাতে জানা গেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৪০০ মিলিয়নেরও বেশি ডলারের সামরিক সহায়তা তাইওয়ানকে অনুমোদন দেননি। এই সহায়তার মধ্যে ড্রোন ও গোলাবারুদও অন্তর্ভুক্ত ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের তাইওয়ান নীতিতে এটি একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে।হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, সহায়তা প্যাকেজটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পদক্ষেপ ট্রাম্পের চীনপন্থী কূটনীতির অংশ, যেখানে বাণিজ্যিক সুবিধার জন্য তাইওয়ানের সামরিক চাহিদাকে পিছনে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।কী ছিল এই সহায়তা প্যাকেজেরিপোর্টে বলা হয়েছে, এটি আগের যেকোনো সহায়তার চেয়ে অনেক বেশি প্রাণঘাতী হতো। দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে যাতে তারা চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তির মোকাবিলা করতে পারে।চীনের প্রতিক্রিয়াচীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী দং জুন স্পষ্ট সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, তাইওয়ান ইস্যুতে বাইরের হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চীনা সেনাবাহিনীকে ২০২৭ সালের মধ্যে তাইওয়ান দখলের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন, যদিও সেই সময়েই যুদ্ধ হবে এমন নিশ্চয়তা নেই।বাইডেন বনাম ট্রাম্পের নীতিপ্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁর আমলে একাধিকবার দ্রুত অস্ত্র সরবরাহ করেছেন। এর বিপরীতে ট্রাম্প বারবার বলেছেন, ধনী মিত্রদের উচিত নিজেদের অস্ত্র কেনা, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার ওপর নির্ভর না করা। একই যুক্তি তিনি ইউক্রেনের ক্ষেত্রেও তুলে ধরেছেন।তাইওয়ানের অবস্থানতাইপে নিজস্ব প্রতিরক্ষা খাতকে জোরদার করছে। প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে সম্প্রতি নৌবাহিনী ও ড্রোনের জন্য নতুন বরাদ্দ অনুমোদন করেছেন। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছিল, যার মধ্যে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান এবং অ্যাব্রামস ট্যাংক ছিল।বিশ্লেষণবিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ তাইওয়ানের জন্য উদ্বেগজনক হলেও চীনের সাথে সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির অগ্রগতির জন্য একটি কৌশল। তবে এ সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের মার্কিন-চীন সম্পর্কের প্রতি ‘লেনদেনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি’রই প্রতিফলন।সূত্র: WION, Washington Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *