
ভোটে হারলেও হামিম আসলে জিতেছে: ডাকসু রাজনীতিতে নতুন বার্তাঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্রত্যাশিত ফল না পেলেও ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী হামিম আলোচনায় উঠে এসেছেন। অনেক পর্যবেক্ষক মনে করছেন, ভোটে হারলেও রাজনৈতিক শিষ্টাচার, মানুষের প্রতি সম্মান এবং ভবিষ্যতের রাজনীতির দিকনির্দেশনা দেওয়ার ক্ষেত্রে হামিম একধাপ এগিয়ে গেছেন।নির্বাচন চলাকালে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের উত্তপ্ত মুহূর্তে হামিমের আচরণ নিয়ে সমালোচনা থাকলেও, পরে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি খোলামেলা ক্ষমা চেয়েছেন। বিশেষত, নারী প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রতি সাইবার হয়রানির ঘটনায় তিনি শুধু দুঃখ প্রকাশই করেননি, বরং ব্যক্তিগতভাবে ও সাংগঠনিকভাবে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর সঙ্গে তার আন্তরিক আলাপচারিতা ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে।ডাকসু নির্বাচনের বিভিন্ন দৃশ্যও শিক্ষার্থীদের নজর কেড়েছে। প্রশ্নোত্তর পর্বে ভুল মন্তব্য করলেও মায়েদের বিনয়ী উপস্থিতি, কিংবা নির্বাচনের পর উত্তেজনার মুহূর্তে গণেশের আক্রমণাত্মক ভঙ্গির বিপরীতে রাকিবের সংযত আচরণ শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশংসিত হয়েছে।বিশ্লেষকরা বলছেন, এই প্রার্থীরা মূলত নিজেদের দুর্বলতার কারণে নয়, বরং দলীয় কাঠামোর ব্যর্থতা ও নেতিবাচক ভাবমূর্তির কারণে ভোটে পিছিয়ে পড়েছেন। গত এক বছরে দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি ও ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতির অভিযোগ না থাকলে হয়তো প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও ঘনিষ্ঠ হতে পারত।পর্যবেক্ষকদের মতে, ছাত্রদল যদি হামিমের মতো প্রার্থীদের আরও স্বাধীনতা ও সুযোগ দিত, তবে তারা নিজেদের ব্র্যান্ড গড়ে তুলতে পারত। এতে শুধু সংগঠনেরই নয়, সামগ্রিক ছাত্ররাজনীতিরও উপকার হতো। তবে আশঙ্কা রয়ে গেছে—সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হামিমরা sidelined হয়ে পড়তে পারে, আর পুরস্কৃত হতে পারে আগ্রাসী প্রবণতার রাজনীতিবিদরা। এমন পরিস্থিতি হলে হামিমদের পক্ষেও হামিম হয়ে থাকা কঠিন হয়ে উঠবে।