কাতারে হামাস কর্মকর্তাদের ওপর ইসরায়েলি বিমান হামলার পরে তুরস্ক উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে তারা হতে পারে পরবর্তী লক্ষ্য। দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিন ও হামাসের পাশে অবস্থান করছেন এবং এই ঘটনার পর তার সতর্কবার্তা আরও তীব্র হয়েছে।তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল জেকি আক্তুর্ক অঙ্কারায় বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) জানান, “ইসরায়েল তার বেপরোয়া হামলা আরও সম্প্রসারণ করবে, যেমনটি কাতারে করেছে, এবং পুরো অঞ্চলের পাশাপাশি নিজেদের দেশকেও বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেবে।”উল্লেখযোগ্য যে, এই হামলা ইসরায়েল ও তুরস্কের মধ্যে ইতিমধ্যেই বিদ্যমান রাজনৈতিক উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। দুই দেশ সিরিয়ায় প্রভাব বিস্তারের দৌড়েও মুখোমুখি হয়েছে, যা গত বছর বাসার আল-আসাদের সরকারের পতনের পর থেকে ক্রমবর্ধমান।এর আগে হামাস জানিয়েছে, কাতারের ওপর ইসরায়েলি হামলা গাজার স্থগিত যুদ্ধবিরতির দাবি পরিবর্তন করবে না। পাশাপাশি, আরব ও মুসলিম নেতৃবৃন্দ কাতারে বৈঠক করে এই হামলার নিন্দা জানাতে প্রস্তুত।বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইতোমধ্যেই উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায়, তুরস্ক সতর্ক অবস্থানে থাকা সত্বেও রাজনৈতিক ও সামরিক পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।