সর্বশেষ
অক্টোবর ১২, ২০২৫

ভারতীয়দের লক্ষ্য করেই কি চালু হলো চীনের কে ভিসা?

Spread the love

বেইজিংয়ে সম্প্রতি চালু হওয়া নতুন K ভিসা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে চীনের ভেতরেই। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত (STEM) পেশাজীবীদের লক্ষ্য করে প্রবর্তিত এই ভিসাকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম “চীনের এইচ-১বি” আখ্যা দেওয়ার পর বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে আলোচনায় আসে।যুক্তরাষ্ট্রের H-1B ভিসা প্রোগ্রামে ভারতীয়রা দীর্ঘদিন ধরেই সংখ্যাগরিষ্ঠ। তবে চীন এবার সরাসরি এই ভিসা মডেলকে মাথায় রেখে নিজেদের বাজারকে বিদেশি মেধাবীদের জন্য খুলছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।তবে চীনের তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে বেকারত্বের চাপে জর্জরিত যুবসমাজ, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এক উইবো ব্যবহারকারী লিখেছেন, “আমাদের দেশে এত স্নাতক-বেকার, অথচ বিদেশিদের সুযোগ দিচ্ছে সরকার।” আরেকজন মন্তব্য করেছেন, “নিজেদের প্রতিযোগিতা বাড়াতে যত উদ্যোগ, সব শেষে বিদেশি পাসপোর্টই জেতে।”এমন প্রতিক্রিয়ার মাঝে জাতীয়তাবাদী ও বিদেশবিরোধী বক্তব্যও সামনে এসেছে, যেখানে বিশেষ করে ভারতীয়দের নিয়ে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করা হচ্ছে।বিতর্ক প্রশমনে এগিয়ে এসেছে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম। গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, “K ভিসাকে সরল কর্ম অনুমতি ভেবে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই।” আর পিপলস ডেইলি লিখেছে, “চীন আজ প্রতিভার জন্য আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি ক্ষুধার্ত।”চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শিগগিরই দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোর মাধ্যমে এই ভিসার বিস্তারিত নিয়মাবলি প্রকাশ করা হবে। তবে এখনো পর্যন্ত পরিষ্কার নয়—এই ভিসায় বিদেশিরা সত্যিই চীনে চাকরি করতে পারবেন কিনা।বিবিসির বিশ্লেষণ বলছে, যুক্তরাষ্ট্র যখন আন্তর্জাতিক মেধাবীদের ভিসা ফি বাড়িয়ে সীমাবদ্ধ করছে, তখন চীন উল্টো কৌশল নিয়ে এগোচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, কঠোর রাজনৈতিক পরিবেশ এবং ভাষাগত সীমাবদ্ধতার কারণে বিদেশি বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের চীনে দীর্ঘমেয়াদি ক্যারিয়ার গড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *