বাংলাদেশের জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ব্যাচেলর পয়েন্ট নিয়ে দর্শকমহলে শুরু থেকেই ছিল মিশ্র প্রতিক্রিয়া। একদিকে যেমন ভক্তদের ভালোবাসা পেয়েছে, অন্যদিকে তীব্র সমালোচনার মুখেও পড়েছে নাটকটি। তবে এই নাটকের অন্যতম আলোচিত চরিত্র নেহালকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এক অনন্য ঘটনাপ্রবাহ, যা বাংলা নাটকের ইতিহাসে বিরল উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।প্রথম দুই সিজনে নেহালকে দেখা গিয়েছিল একেবারেই ইতিবাচক চরিত্রে। নাটকের শুরুতে বিশেষ কোনো ভক্তগোষ্ঠী তৈরি হয়নি এই চরিত্রকে ঘিরে। কিন্তু সময়ের সাথে নাটকটি যখন বিতর্কিত ভাষা, অশালীনতা এবং দৃষ্টিকটু অঙ্গভঙ্গির কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে, তখন দর্শকরা নেহালের অনুপস্থিতি গভীরভাবে অনুভব করতে থাকেন।এই চরিত্রটি না থাকায় দর্শকের মনে যতটা ভালোবাসা জন্মেছে, তা হয়তো উপস্থিত থাকাকালে তৈরি হয়নি। নেহাল চরিত্রের প্রত্যাবর্তন তাই শুধু একটি নাট্যঘটনা নয়, বরং দর্শক চাহিদার সরাসরি প্রতিফলন। নাটকের পরিচালক ও প্রযোজক অবশেষে বাধ্য হয়েছেন চরিত্রটিকে ফিরিয়ে আনতে।ফলাফল ছিল অবিশ্বাস্য। সাবস্ক্রিপশন বেড়ে গেছে হু হু করে। একটি সাধারণ চরিত্র হয়ে উঠেছে বাংলা নাটকের সবচেয়ে বড় কামব্যাকের প্রতীক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক দর্শক একে তুলনা করেছেন বাটারফ্লাই ইফেক্টের সঙ্গে, যেখানে ছোট একটি অনুপস্থিতি তৈরি করেছে বিশাল এক প্রভাব।এই প্রত্যাবর্তন প্রমাণ করে যে দর্শকই শেষ পর্যন্ত যেকোনো নাটকের প্রকৃত নিয়ামক শক্তি। ব্যাচেলর পয়েন্টের নেহাল চরিত্র আজ বাংলা নাটকের ভক্তদের কাছে এক বিশেষ আবেগের নাম।

