সর্বশেষ
অক্টোবর ১৩, ২০২৫

বাংলাদেশ–ভারত সীমান্তজুড়ে ইউপিডিএফের সক্রিয় নেটওয়ার্কের খোঁজ

Spread the love

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভিত্তিক আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)–এর কার্যকলাপ নিয়ে নতুন করে নড়েচড়ে বসেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সম্প্রতি ফাঁস হওয়া একাধিক গোপনীয় গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে এসেছে সংগঠনটির ভারতীয় রাজ্য ত্রিপুরা সীমান্তজুড়ে নাশকতা, গোপন বৈঠক এবং অর্থ লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য।ত্রিপুরা পুলিশের বিভিন্ন শাখা, ভারতের নিরাপত্তা সংস্থা এবং স্থানীয় প্রশাসনের যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউপিডিএফ–এর সক্রিয় সদস্যরা শুধু বাংলাদেশেই নয়, ভারতীয় ভূখণ্ডেও গোপনে আস্তানা গড়ে তুলেছে। এমনকি সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে কিছু প্রভাবশালী পরিবার তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে বলে তথ্য রয়েছে।গোয়েন্দা তথ্যের মূল দিকগুলো:আগরতলা, সোনামুড়া ও বিভিন্ন সীমান্তবর্তী থানায় ইউপিডিএফ সদস্যদের চলাচল শনাক্ত।একাধিক এসপি ও ডিএসপি পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নামে রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, যারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।নাশকতা, অর্থ লেনদেন ও সীমান্ত দিয়ে অবৈধ যাতায়াতের ঘটনাগুলো গোয়েন্দা ডসিয়ারে সংরক্ষিত।নিহত নেতা সুরেশ চাকমার পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে সংগঠনটির অর্থায়ন ও সাংগঠনিক যোগাযোগের প্রমাণ।ভারতীয় মাটিতে বসেই বাংলাদেশি সীমান্ত এলাকায় নতুন কর্মী নিয়োগ ও চাঁদা আদায়ের কার্যক্রম।সূত্র জানায়, সম্প্রতি ২৬ ও ২৭ এপ্রিল ২০২১ তারিখে আগরতলায় সংঘটিত বৈঠকের তথ্য হাতে পেয়েছে গোয়েন্দারা। বৈঠকে উপস্থিতদের নাম-পরিচয় ও তৎপরতা উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।এছাড়া, ইউপিডিএফের সক্রিয় নেতা বিনয় চাকমা ও সুরেশ চাকমার পরিবারের সদস্যরা ভারতীয় ত্রিপুরা রাজ্যে অবস্থান করে সংগঠনটির জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। সীমান্তবর্তী এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউপিডিএফের এই কার্যকলাপ শুধু আঞ্চলিক শান্তি-শৃঙ্খলাই নয়, বরং ভারত–বাংলাদেশ দুই দেশের নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে উঠছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *