সর্বশেষ
অক্টোবর ১৩, ২০২৫

চট্টগ্রামে নুরু হত্যা মামলায় অব্যাহতি নিয়ে চাঞ্চল্য !ফজলে করিমের নির্দেশে নুরুকে তুলে নেওয়া হয়েছিল দাবি পরিবার

Spread the love

২০১৭ সালের ২৯ মার্চ, রাত প্রায় ১১টা ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রামের চকবাজার থানাধীন চন্দনপুরা থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম নুরুকে তুলে নিয়ে যায় রাউজান থানার এসআই জাবেদ।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের এমপি এ বি এম ফজলে করিমের নির্দেশে নুরু’কে বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল। নুরু’র পরিবারের সদস্যদের সামনে পুলিশ কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেখাতে পারেনি। বাসার মূল দরজা খুলে দেওয়া হয়েছিল নুরু’র ভাগ্নে রাশেদুল ইসলামের মাধ্যমে, এরপর পুলিশ নুরু’কে বিছানা থেকে টেনে তুলে হাতে হাতকড়া পরিয়ে সাদা রঙের একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়।প্রাথমিকভাবে নুরুকে রাউজানের নোয়াপাড়া কলেজ ক্যাম্পাসে নেয়া হয়। সেখানে আগে থেকে উপস্থিত ফজলে করিমের আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের তত্ত্বাবধানে নুরুকে গাড়িতে তুলে নোয়াপাড়া পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে ভয়াবহ শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। পরবর্তীতে নুরুকে হত্যার পর রাউজান বাগোয়ান ইউনিয়নের কর্ণফুলী নদীর তীরে লাশ ফেলে দেওয়া হয়। নুরু’র লাশ পরদিন উদ্ধার করা হয়।দীর্ঘ সাত বছর পর, নুরু’র স্ত্রী সুমি আক্তার ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ চট্টগ্রামের চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক এমপি ফজলে করিমসহ নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির প্রাক্তন ইনচার্জ সহ ১৭ জনকে আসামী করা হয়েছে।তবে অভিযোগ, এক বছর অতিবাহিত হলেও মামলায় উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি নেই। নুরু হত্যায় জড়িত কয়েকজন আসামী এখনও চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অসুস্থ স্ত্রী ও মামলার বাদী সুমি আক্তার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *