ইউরোপের এই বছরের তীব্র গ্রীষ্মে মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তন সরাসরি প্রভাব ফেলেছে প্রাণহানিতে। বিজ্ঞানীদের এক দ্রুত গবেষণা অনুযায়ী, ৮৫৪টি শহরে প্রায় ১৬,৫০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।জুন থেকে আগস্টের মধ্যে গড় তাপমাত্রা প্রায় ২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। মোট প্রায় ২৪,৪০০ অতিরিক্ত মৃত্যু ঘটেছে বলে অনুমান করা হয়, যার প্রায় ৭০ শতাংশের জন্য সরাসরি দায়ী জলবায়ু পরিবর্তন।ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন ও লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের গবেষকরা জানিয়েছেন, এই হিসাব প্রকৃত মৃত্যুর তথ্য নয় বরং মডেলিং ও ইতিহাসভিত্তিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে করা অনুমান। তারা সতর্ক করেছেন, প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।রোমে সবচেয়ে বেশি ৮৩৫ জন, এথেন্সে ৬৩০ জন এবং প্যারিসে ৪০৯ জন মারা গেছেন। আক্রান্তদের ৮৫ শতাংশই ছিলেন ৬৫ বছরের বেশি বয়সী।২০২৫ সালের গ্রীষ্ম ইউরোপের ইতিহাসে চতুর্থ উষ্ণতম গ্রীষ্ম হিসেবে রেকর্ড হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, মাত্র ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার পার্থক্য হাজারো মানুষের জীবন কেড়ে নিতে পারে। এজন্য হিটওয়েভকে ‘নীরব ঘাতক’ বলা হয়।২০২৩ সালের Nature Medicine-এর এক গবেষণায় প্রায় ৪৭,০০০ মানুষ তীব্র গরমে মারা গিয়েছিলেন। নতুন গবেষণার ফলাফল প্রমাণ করছে, পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়াবহ হয়ে উঠছে।গবেষকরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে জরুরি ব্যবস্থা না নিলে আগামীর গ্রীষ্মগুলো আরও প্রাণঘাতী হতে পারে।Source: AFP, Khaleej Times